/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/21/vikram-sambat-2025-10-21-15-18-05.jpg)
Vikram Sambat: বিক্রম সংবত।
Vikram Sambat: প্রতিবছরের তারিখ ও জন্মদিনের হিসেব আমরা সাধারণত গ্ৰেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী মেনে থাকি। কিন্তু, বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি এই ক্যালেন্ডারের বৈজ্ঞানিক ভিত্তি সীমিত। যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন এবং জুলিয়ান আর গ্ৰেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। তার সংশোধনের ইতিহাস রয়েছে। এই সংশোধনের ইতিহাসই প্রমাণ করে যে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের ভিত্তি সীমিত। এমনটাই অভিযোগ ওই বিশেষজ্ঞদের।
আসলে জুলিয়াস সিজারের সময় থেকে রোমানরা ক্যালেন্ডার ব্যবহার করলেও সূর্য বা চাঁদের চক্র অনুযায়ী নিখুঁত হিসেব রাখতে পারেনি। লিপ ইয়ার এবং মাসের দৈর্ঘ্য নিয়ে তাদের গণনার সীমাবদ্ধতা গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার সংশোধনের প্রয়োজন তৈরি করেছিল। কিন্তু, ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী আর্যভট ৫ম শতাব্দীতে নক্ষত্র বর্ষের দৈর্ঘ্য ৩৬৫.২৫৮৬ দিন নির্ধারণ করেছিলেন। বর্তমান প্রায় সঠিক হিসেবের সঙ্গে মিল রেখে, ভারতীয় ক্যালেন্ডার বৈজ্ঞানিক দিক থেকে পশ্চিমা ক্যালেন্ডারের চেয়ে অনেক এগিয়ে ছিল।
আরও পড়ুন- শুধু নিষিদ্ধ বাজিই নয়, গ্রিন ক্র্যাকারেও ছড়ায় ভয়ংকর দূষণ, চমকে দেবে সত্যিটা!
বিক্রম সম্বত চাঁদের দশা অনুযায়ী মাস নির্ধারণ করে এবং বছরের প্রথম দিনটি চৌত্র শুক্ল প্রতিপদে শুরু হয়, যা ভারতীয় ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। শক সম্বত রয়েছে। তা সরকারি কাজের জন্য নির্ধারিত হলেও চাঁদের চক্র অনুযায়ী নির্ধারিত নয়। ভারতীয় পঞ্চাঙ্গে সূর্য, চাঁদ ও নক্ষত্রের অবস্থান অনুসারে দিনের হিসেব করা হয়। এভাবেই ইতিহাসের কোনও ঘটনার সঠিক তারিখ নির্ধারণ, কৃষি, ঋতুর পূর্বাভাস এবং নেভিগেশনের জন্য বিক্রম সংবত ব্যবহার করা সম্ভব। এমনটাই দাবি ওই বিশেষজ্ঞদের।
আরও পড়ুন- চিড়িয়াখানায় বাঘের খাঁচায় পড়ে গেলেন মহিলা, তারপর যা ঘটল তা শিউরে ওঠার মত!
কী এই বিক্রম সংবত?
বিক্রম সংবত চালু করেছিলেন গুপ্তসম্রাট মহারাজ বিক্রমাদিত্য। তাঁর নাম অনুসারে এই বিক্রম সংবত। এর মধ্যে সংবত শব্দের অর্থ, বছর বা সময়কাল। এটি আবিষ্কার করেছিলেন আর্যভট্ট। তিনি ছিলেন মহারাজ বিক্রমাদিত্যের সভার বিশিষ্ট ন'জন পণ্ডিত বা নবরত্নদের অন্যতম বা এক রত্ন। এই ক্যালেন্ডার বর্তমান গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের চেয়ে ৫৭২ বছর এগিয়ে থাকে। যেহেতু রাজা বিক্রমাদিত্য হিন্দু ছিলেন আর ভারতে এই ক্যালেন্ডারের সূচনা, সেই কারণে এই ক্যালেন্ডারকে হিন্দু ক্যালেন্ডার বা ভারতীয় ক্যালেন্ডারও বলে।
আরও পড়ুন- আদানি কি শেষমেশ সাহারা সাম্রাজ্যের মালিকানা পাবে?
এটি একটি চন্দ্র–সৌর বছর, অর্থাৎ মাসগুলি চন্দ্রচক্র অনুযায়ী এবং বছরটি সৌরচক্র অনুযায়ী সমন্বয় করা। মাসের নামগুলো হল- বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ় ইত্যাদি। বর্তমানে, ২০২৫ সালের অক্টোবর হল ২০৮২ বিক্রম সংবত। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, হরিয়ানা, বিহার, উত্তরাখণ্ড এবং দিল্লির বাসিন্দারা এই সংবত বা বছর পালন করেন। এটি নেপালেও সরকারি ক্যালেন্ডার হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
আরও পড়ুন- ভারতীয়-বংশোদ্ভূত স্ট্র্যাটেজিস্ট, কোন ভয়াবহ অভিযোগে ট্রাম্প প্রশাসনের হেফাজতে?
ক্যালেন্ডার অনুযায়ী বিক্রম সংবত শুরু হয় চৈত্র মাসের শুক্লা প্রতিপদে। ২০২৫ সালে যেমন শুরু হয়েছে ৩০ মার্চ। কিন্তু, গুজরাটে এই সংবতটি গুজরাটি নববর্ষ হিসেবে পালিত হয়। যা দীপাবলির পরের দিন শুরু হয়। ২০২৫ সালে যেমন ২২ অক্টোবর শুরু হবে। আর ভারতের শেয়ার বাজারে দীপাবলির সময় বিশেষ 'মুহূর্ত ট্রেডিং' সেশন অনুষ্ঠিত হয়। যা নতুন আর্থিক বছরের সূচনা হিসেবে ধরা হয়।